বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজস্থ শাখার উদ্যোগে ব্লাক ফাংঙ্গাস সচেতনতা মূলক মানববন্ধন।
ইয়াছিন মোল্লা, (স্টাফ রিপোর্টার);বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজস্থ শাখার উদ্যোগে ব্লাক ফাংঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস থেকে মানুষকে সচেতন করতে এক জনসচেতনতা মূলক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। করোনার পর ব্লাক ফাংঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস রোগ সাধারণ মানুষ এমনকি ডাক্তারদেরও ভাবিয়ে তুলেছে। মিউকোর নামের একটি ছত্রাক আছে যার সংস্পর্শে আসলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়।
এই সময় উপস্থিত শিক্ষার্থীরা এই ছত্রাকটি কোথায় থাকে তা তুলে ধরেন তারা বলেন ছত্রাকটি সাধারণত মাটি,গাছপালা, সার,ও পচনশীল শাক-সবজীতে থাকে।এই ছত্রাক সাইনাস, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুসকে আক্রান্ত আক্রান্ত করে।
এই সময় সচেতনতা কার্যক্রমে যুব রেড ক্রিসেন্ট, সোহরাওয়ার্দী কলেজ শাখার টিচার্স ইনচার্জ ম্যাম বলেন, ''করোনা এবং ডেঙ্গুর মধ্যে যেন কোন অবস্থায় ব্লাক ফাঙ্গাস মহামারী আকার ধারণ না করে সে লক্ষ্যে এখন থেকে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে। এছাড়া পরিবারের বাকী সদস্য যাদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রয়েছে তাদের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হওয়ারও পরামর্শ দেন তিনি।''
এছাড়াও দলনেতা মোঃ ইলিয়াছ বলেন, ''আমরা যদি এখন থেকেই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি এবং সচেতন থাকি তাহলে ব্লাক ফাঙ্গাস আর মহামারী আকার ধারণা করতে পারবে না। এছাড়াও মাস্কের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে, সার্জিক্যাল মাস্কগুলো একবার ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট স্থানে ফেলে দেওয়া এবং কাপড়ের মাস্কগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা ও একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবহার করা উচিত।''
সংগঠনটি মাত্র ১৭ জন সদস্য নিয়ে কাজ শুরু করলেও বর্তমানে তাদের সদস্যের সংখ্যা প্রায় শতাধিক।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজস্থ যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিতে বর্তমানে উপদেষ্টা হিসাবে রয়েছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব মহসিন কবির মহোদয়, টিচার্স ইনচার্জের দ্বায়িত্বে রয়েছে ড.শামসুন্নাহার সহযোগী অধ্যাপক রসায়ন বিভাগ,এছাড়াও টিম লিডার হিসেবে রয়েছে মোহাম্মদ ইলিয়াস, তাজমিরা তামান্না তিশা,অপূর্ব চক্রবর্তী, সানজিদ শাহরিয়ার মুরাদ।