কুরবানী এবং অর্থনীতি-অধ্যাপক ডাঃ ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী।

 কুরবানী এবং অর্থনীতি:অধ্যাপক ডাঃ ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী 





আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৫০ লাখ পশু কুরবানী করা হয়। এটা আমাদের অর্থনীতিতে কতটুকু অবদান রাখতে পারে তা একটু আলোচনা করা যাক।

১। যারা পশু পালছে তারা তা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে ।

২। পশুটিকে লালন পালন করতে যেয়ে পশু খাদ্যের ব্যবসা হচ্ছে ।

৩। গরুর গোবর জৈবিক সার এবং জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।

৪। কুরবানীর সময় পশু স্থানান্তরের কারনে যানবাহনের  ব্যবহার বেড়ে যায়।

৫। মাঠের ইজারা, হাসিল এগুলোও অর্থনীতিতে অবদান রাখে।

৬। পেশাদার  slaughter অপেশাদার slaughter সকলের অতিরিক্ত আয়ের উৎস ।

৭। পশু জবাই করা এবং মাংস তৈরির জন্য কিছু articles এর প্রয়োজন হয়। এগুলোরও ব্যবসা হয়।

৮। পশুর চামড়া চামড়া শিল্পের জন্য অত্যাবশ্যক । চামড়া নিয়ে সাময়িক একটি চামড়া ব্যবসা শুরু হয়।

৯। চামড়া বিক্রির টাকা গরিব মিছকিনদের মাঝে বন্টন করতে হয়।

১০। এই টাকা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আয়ের উৎস ।

১১। গরিবরা যে মাংস পায় তা দিয়ে তারা প্রোটিনের অভাব মেটায়।

১২। গরিবেরা কেহ কেহ মাংস বিক্রি করে কিছু টাকা আয় করে।

১৩। কুরবানী পশুপালন শিল্পের সম্প্রসারণকে উৎসাহিত করে।

সুতরাং কুরবানী কেবলমাত্র একটি ধর্মীয় আচারই নয়

এটা একটি উৎসব এটা অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি পন্থা সর্বোপরি এটি ধনী গরীবের মাঝে একটি মেলবন্ধন ।

আসুন আমরা এই ঈদুল আজহাকে স্বাগত জানাই । সবাইকে ঈদ মোবারক 

                অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফয়জুল ইসলাম চৌঃ

Post a Comment

Previous Post Next Post